বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের অনেকে ক্যাম্প ছেড়ে শহর ও লোকালয়ে ভাড়া বাসায় আয়েশে জীবন কাটাচ্ছে। এসব রোহিঙ্গারা এলাকায় মাদক, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। টেকনাফের সদর ইউনিয়ন, পৌরসভা এলাকা, হ্নীলা, উখিয়ার পালংখালী, বালুখালী, রাজাপালং, কোটবাজার ও মরিচ্যা এলাকার বিভিন্ন ভাড়া বাসাতে তারা বসবাস করে আসছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ ম্যানশন নামক একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব ১৫।
এ অভিযানে বাড়িতে ভাড়ায় থাকা নারী ও শিশুসহ ১৩ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার ও তাদের আশ্রয়দাতা বাড়ির মালিকসহ দুই জন কে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়া এলাকার আবদুল্লাহ ম্যানশনের মালিক মৃত ওমর হামজার ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (২৭) ও বাড়ীর কেয়ারটেকার মোহাম্মদ ফয়েজ (৬৫)।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের আইন ও গণমাধ্যম কর্মকর্তা (সহকারি পরিচালক) সহকারি পুলিশ সুপার আ.ম.ফারুক বলেন, মঙ্গলবার ভোররাতে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়ায় জনৈক ব্যক্তির বাড়ীতে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা অবৈধভাবে আশ্রয় নিয়েছেন এমন তথ্য পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আব্দুল্লাহ ম্যানশন নামক একটি বাড়ি সন্দেহজনকভাবে শনাক্তের পর তল্লাশি করা হয়। এসময় ওই বাড়িতে ক্যাম্প ছেড়ে এসে বসবাস করা ১৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করা হয়। রোহিঙ্গাদের নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেয়ার অপরাধে বাড়ির মালিক ও কেয়ারটেকারকে আটক করা হয়।
র্যাব-১৫ কর্মকর্তা আ.ম. ফারুক আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের স্ব-স্ব ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আটক দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে টেকনাফ থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গাদের অনেকে ক্যাম্প ছেড়ে এলাকার বিভিন্ন ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছে এটি দিবালোকের মতো সত্য। স্থানীয় কিছু লোক তাদের সুবিধা আদায়ের জন্য বাড়ি ভাড়া ও আশ্রয় দিয়ে থাকে। শুধু টেকনাফ ও উখিয়া ছাড়াও পুরো কক্সবাজার জেলায় সাড়াশি অভিযান পরিচালিত হলে ক্যাম্প ছেড়ে অবৈধভাবে বসবাস করা অনেক রোহিঙ্গা বের হয়ে আসবে।
ভয়েস/জেইউ।